স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের তিতাস নদীর উপর নির্মিত প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো দীর্ঘ একটি সেতুর রেলিং ভেঙ্গে পড়ার কারণে ৫ দিন ধরে হবিগঞ্জসহ সিলেটের সাথে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে সিলেট আসা ও সিলেট থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে সাধারণ যাত্রীদের মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এছাড়া হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার জুড়ে কয়েক হাজার পণ্যবাহি ট্রাক, কাভারভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে আছে। এতে চালক ও ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ার হোসেনে চৌধুরী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন আজকের মধ্যেই সেতু মেরামতের কাজ সম্পন্ন করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় সেতুটির চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। ওইদিন রাতেই সেতুটির উপর দিয়ে ভারী ও মাঝারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এরপর থেকে যানাবহনগুলো ওই সরু সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সৃষ্টি হয় যানজটের।
মাধবপুর উপজেলার রতনপুর এলাকায় আটকেপড়া পণ্যবাহি ট্রাক চালক হামিদ মিয়া বলেন- মঙ্গলবার রাতে তিনি ট্রাক নিয়ে সরাইল-নাছিরনগর-রতনপুর হয়ে হবিগঞ্জের অলিপুরে প্রাণ কোম্পানীতে পণ্য নেওয়ার জন্য আসি। কিন্তু এখন এ রাস্তা দিয়ে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যার কারণে আজ ৫দিন ধরে রতনপুর এলাকায় আটকা পড়ে আছি।
মাগুরা থেকে সিলেটগামী অপর ট্রাক চালক মনিরুল ইসলাম বলেন আজ দুই দিন ধরে বসে আছি। রতনপুর সড়কে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্ত ৫০০, ১০০০ টাকা নিয়ে রাতের বেলায় কিছু ট্রাক রতনপুর নাছিরনগর সড়কে ঢুকতে দিচ্ছে। তবে টাকা নিয়ে ট্রাক ছাড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মাধবপুর ট্রাফিক জোনের উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন রতনপুর সড়ক দিয়ে শুধু সিলেটের দিকের গাড়িগুলো যেতে দেয়া হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির আশংকায় ওই সড়ক দিয়ে কোন গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
মাধবপুর ট্রাফিক জোনের ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুর রহমান রোববার দুপুরে এ প্রতিনিধিকে বলেন তিনি যতটুকু জানতে পেরেছেন ব্রিজটি মেরামত করতে আরো ৭-৮দিন সময় লাগবে। যানজট নিরসনের জন্য ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত দায়িত্ব পালন করছে।