স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের হরিপুরে ফরিদ মিয়া নামে এক নিরীহ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হাত-পা কেটে ফেলার অভিযোগে দায়েরী মামলার পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর মিয়াকে (৩৫) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে ওই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র। রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একই এলাকার মৃত আমীর আলীর পুত্র ফরিদ মিয়াকে (৩২) তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে জাহাঙ্গীর, আব্দুল হক, নানুসহ বেশ কিছু লোক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও মুখ বেধে খোয়াই নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে করে ফেলে। এক পর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে সদর থানার পুলিশ ফরিদকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সে দীর্ঘ ৯ মাস জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেঁচে থাকলেও পঙ্গু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই অবস্থার কারণে তার পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই আলী হোসেন উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে বিভিন্ন আসামী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে আসে। অপরদিকে এই মামলার অন্যতম আসামী মৃত আকবর মিয়ার পুত্র নানু মিয়া এখনও কারাগারে রয়েছে। বাদী ও তার পরিবারকে জামিনে থাকা আসামীরা মামলাটি তুলে নিতে প্রাণে হত্যার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মামলার প্রধান আসামী জাহাঙ্গীর মিয়া ৯ মাস পলাতক থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
ফরিদের পরিবার ও এলাকাবাসী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।