বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ এর এর কার্যকরী কমিটির সভায় হবিগঞ্জের জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশনে প্রশাসনের চলমান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। ২৩ জুন অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, প্রায় দেড় দশক ধরে শহরের জলবদ্ধতা নিরসনে বাপাসহ নাগরিক সমাজ আন্দোলন করে আসছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রধান আধার পুরাতন খোয়াই নদী, বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাল পুকুর জলাশয় ভরাট দখল হয়ে যাওয়ার ফলে কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের দখল হয়ে যাওয়া নালা-নর্দমা এবং বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খালের দখল উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার জন্য সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সভায় ধন্যবাদ জানানো হয়।
বাপার পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা বলে আসছি এই শহরের বৃষ্টির পানি ধারণের আধার জলাশয়গুলো দখল-ভরাট হয়ে গেছে। জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধার করা না হলে পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হওয়াসহ জলাবদ্ধতায় মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে। যেকোন শহরে বারিপাত অঞ্চল বা রিটেনশন পন্ড হচ্ছে শহরে অবস্থিত প্রাকৃতিক জলাশয় সমূহ। হবিগঞ্জ শহরের জন্য পুরাতন খোয়াই নদী, বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাল, পুকুরসহ হুমকির মুখে থাকা প্রাকৃতিক খাল ও জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। নর্দমা পরিস্কার কিংবা খাল কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ক্ষণস্থায়ী সমাধান। জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে হবিগঞ্জে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ইতিপূর্বে পুরাতন খোয়াই নদীর আংশিক সীমানা নির্ধারণের জরিপ, দখলদারদের তালিকা প্রকাশসহ মাছুলিয়া থেকে গরুর বাজার পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সীমানা নির্ধারণ করে সকল স্থাপনা অপসারণ করে স্বাভাবিক প্রবাহে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া উচ্ছেদকৃত বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খালসহ প্রাকৃতিক জলাধারগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা একান্ত দরকার।
পুরাতন খোয়াই নদীসহ অন্যান্য জলাশয়গুলোকে দখলমুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা মনে করি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছাই জলাশয়গুলোকে দখলমুক্ত করে হবিগঞ্জকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি