প্রশাসনের উদ্দেশ্যে যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে যাতে সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিগত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। একই সাথে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে আতাউর রহমান সেলিম বলেন, রাজপথের একজন কর্মী হিসাবে দলীয় আদর্শ ও চেতনাকে ধারন করে আমি রাজনীতি করি। একজন রাজনীতিবিদ জনগণের সেবা করার জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার আকাক্সক্ষা করাটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসাবে আমার দল আওয়ামী লীগ বিগত পৌর নির্বাচনে আমাকে দলের মনোনয়ন দিয়েছিল। সেই নির্বাচনে আমি হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলাম। প্রতিদিন উৎসবমুখর পরিবেশে আমার নেতাকর্মীরা বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু সকল নেতাকর্মীরা যখন শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করার চেষ্টা করছিলেন তখন কিভাবে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে তা সকলেই অবগত আছেন। বহিরাগত লোকজনের তান্ডব শহরবাসী দেখেছেন। আমার কর্মীরা মার খেয়েছে। আমি নিগৃহীত হয়েছি। ভোটাররা আতংকে কেন্দ্র ছেড়ে বাসায় চলে গেছেন। যেখানে নৌকার ভোট বেশী ছিল সেখানেই সমস্যা হয়েছে। ফলে আমার পরাজয় হয়েছে। আমি পরাজয় মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হতাশ হয়েছেন। তবে রাজনীতির পথ পরিক্রমায় আমি যখন আবারও উপ-নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেই তখনও সকলেই আমার পাশে ছিলেন। পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলার আমাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে আবেদন করেছিলেন। শহরের ৯টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী, মুরুব্বিয়ান ও যুবকদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন সময় মতবিনিময় করলে সকলেই দলমত নির্বিশেষে আমাকে আশ^াস দিয়েছিলেন নির্বাচনে সহযোগিতা করার। জেলা আওয়ামী লীগের তালিকায় প্রথম নামটি ছিল আমার। কিন্তু দল থেকে যে কোন কারণেই হোক আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আমি চাইলে বিদ্রোহী হতে পারতাম। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এবং আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে পরামর্শ করে নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকি। আমাকে নির্বাচিত করার জন্য দলের নেতাকর্মী সহ মুরুব্বীয়ান ও যুবক ভাইদের যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল আমি নির্বাচন না করায় তারা কষ্ট পেয়েছেন আমি এই ঋণ কোন দিন শোধ করতে পারব না। তবে ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে সকলের সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করব। এখন রাত পোহালেই ভোট। আমার প্রত্যাশা এবার যেন শহরে কোন আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। বহিরাগত লোকজন এসে যেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না করতে পারে। ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি। ঐতিহ্যবাহী হবিগঞ্জ পৌরসভার জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেন এই প্রত্যাশা আমার।