স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার ১৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন অফিসের সচিব খন্দকার শামছুল আলম নিয়মিত অফিস করেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তাই বন্ধ থাকে ওই অফিসের সার্বিক সেবা কার্যক্রম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুরাদপুর ইউনিয়নের সেবা প্রত্যাশীরা ইউপি সচিবের হবিগঞ্জের ঠিকানায় আসলেও কাজ করে নিতে দিতে হয় উৎকোচ। টাকা না দিলে কাজ আটকে থাকে মাসের পর মাস। ওই ইউনিয়নের জনসাধারণ জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তার সনদসহ বিভিন্ন ধরনের জরুরী কাজের জন্য তাকে অফিসে না পেয়ে দফাদারের কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের হবিগঞ্জের নিউ মুসলিম কোয়ার্টারস্থ বাসার ঠিকানায় আসতে বলেন। পরে সেবা প্রত্যাশীরা হবিগঞ্জে এসে জানতে পারেন তিনি রয়েছেন সিলেটে।
ওই এলাকার দিনমজুর আব্দুল আলী জানান, মুরাদপুর ইউনিয়ন হবিগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় ওই এলাকা থেকে তার ঠিকানায় আসা-যাওয়া করতে পুরো একটি দিন লেগে যায়। গরীব মানুষেরা তাদের নিত্য কাজকর্ম ফেলে গিয়েও টাকা ছাড়া ইউপি সচিবের কাছ থেকে কাজ উদ্ধার করতে পারে না। টাকা না দিলে শুনতে হয় নানা ধমক-বকাঝকা। ভবিষ্যতে আর তার বাসায় না যেতেও নিষেধ করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব শামছুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন অফিসে বিদ্যুত না থাকায় জন্ম নিবন্ধনসহ ইন্টারনেটের জরুরী কাজগুলো অফিসে বসে করা যায় না। তাছাড়া অফিসটি বিথঙ্গলে থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনুন্নত। তাই এখানে বসে অস্থায়ী অফিস করছি।
মুরাদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহের হাসেন বলেন, ‘এটা আসলে বড় কোন সমস্যা নয়, তিনি হবিগঞ্জের বাসায় বসে অফিস করেন ঠিকই, তবে এলাকার মানুষ তার বাসায় গিয়ে কাজ করিয়ে আনেন। আমাদের উদ্যোক্তা রয়েছেন তিনি সচিবের আংশিক কাজ করে থাকেন’।
এ ব্যাপারে বানিয়াচঙ্গ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ‘ঘটনাটি সত্য হলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্যুত থাকুক আর নাই-বা থাকুক তাকে ওই অফিসে বসেই কাজ করতে হবে। লোকজন তো আর হবিগঞ্জে যাবে না’।