প্রকৃত মুসলমানের কাছে যেমন তার শিশু নিরাপদ, তেমনি তার পরিবার সমাজ রাষ্ট্র এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নিরাপদ
এসএম সুরুজ আলী/জামাল মোঃ আবু নাছের ॥ পবিত্র কোরআন হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান গ্রন্থ। সবচেয়ে রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগোল গ্রন্থ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও ইতিহাসের বই। কি না আছে পবিত্র কোরআনে, সব কিছু আছে। এটা আমাদেরকে আত্মস্থ করতে হবে, বুঝতে হবে। আমরা যে যে অবস্থায় আছি আমরা যদি কোরআনের গাইডলাইন মেনে জীবন গড়ি তাহলে সমাজে বিশৃংখলা থাকবে না। সমাজে যত বিশৃঙ্খলা ও যত অশান্তি আছে তা দূর হবে এবং পবিত্র কোরআন মেনে চললে আমাদের পুলিশিং কার্যক্রমও সহজসাধ্য হয়ে যাবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে ছাতিয়াইন ইউনিয়ন পরিষদ মুক্তমঞ্চে ছাতিয়ান এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত ইউনিয়নের দুই শতাধিক হাফিজুল কোরআনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পবিত্র কোরআন যারা ধারন করে লালন করে তাদের দ্বারা অন্য কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে না, আহত হতে পারে না। মসজিদে জুতা চুরি হয়ে যায়। কোন মুসল্লি জুতা চুরি করতে পারে না। চোরেরা মুসল্লির লেবাস ধরে জুতা চুরি করে। আর সব দোষ চলে যায় মুসল্লিদের উপরে। তেমনই ইসলাম নামধারী জঙ্গিরা কখনো মুসলমান হতে পারে না। তারা মুসলমানের লেবাস ধরে জঙ্গি তৎপরতা চালায়। এ জন্য আমাদের যারা নিরীহ মুসলমান রয়েছেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন তাদের দিকে জঙ্গিবাদের সন্দেহের তীর ঠেলে দিচ্ছে। আসলে একজন প্রকৃত মুসলমানের কাছে যেমন তার শিশু নিরাপদ, তেমনি তার পরিবার, সামাজ ও রাষ্ট্র নিরাপদ এবং অন্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও নিরাপদ। ইসলামের নাম নিয়ে একটি চক্র জঙ্গিবাদের কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে হিজরতের কথা আছে। জিহাদের কথা আছে। এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা আছে। এগুলো বুঝে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। হলি হার্টিজানে জঙ্গিবাদে কারা জড়িত ছিল তা আপনারা দেখেছেন। তারা ছিলেন ব্যয়বহুল ইউনিভার্সিটির ছাত্র। অশ্লীলভাবে চলাফেরার কারণে তারা পাপাচার কাজ বেশি করে ফেলায় তা থেকে সংশোধন হতে গিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ইসলামের সঠিক পথে আমাদের চলতে হবে। সঠিক পথে চললে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ আসবে। পুলিশ সুপার বলেন- পবিত্র কোরআনের হাফেজদের গণসংবর্ধনা প্রদান করা এটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। যারা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ছাতিয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জ দারুচ্ছুনাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফির পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন মনু, মাওলানা জালাল উদ্দিন ভূইয়া, সৈয়দ মুজিবুল হোসাইন লিটন, শহিদুল ইসলাম বাবু, মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক শেখ কামরুল ইসলাম, বায়োজিদ মিয়া, মাওলানা কাউছার আহমেদ প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে সংবর্ধিত হাফেজদের হাতে পবিত্র কোরআন শরীফ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। রাতে ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।