লাখাইর বুল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দাঙ্গা জঙ্গিবাদ ইভটিজিং প্রযুক্তির অপব্যবহার মাদক বাল্যবিয়ের কুফল নিয়ে আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই থানা পুলিশের উদ্যোগে বুল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দাঙ্গা, মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, প্রযুক্তির অপব্যবহার ও বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, ওসি তদন্ত অজয় চন্দ্র দেব, প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম প্রমূখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, সমাজকে দাঙ্গামুক্ত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। দাঙ্গা প্রতিরোধে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই। বাল্যবিবাহ বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক প্রাণ। বাল্য বিবাহ নামক এই দুরারোগ্য ব্যাধিটি সারাতে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে পারে। সচেতন সমাজ সৃষ্টি করতে পারে আলোকিত মানুষ ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তাই বাল্যবিবাহ রোধে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করে বাল্যবিবাহের সর্বনাশা পথ থেকে মেয়েদের মুক্তি করে কিশোরীদের আলোর পথ দেখাতে সমাজের প্রতিটি মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন ইভটিজিং করে কেউ পার পাবেনা। দ্রুত তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। রাস্তা-ঘাটে যদি কোনো বখাটে বিরক্ত করে তাহলে থানার অফিসার ইনচার্জ কিংবা তাকে জানানোর জন্য অভিভাবক ও ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন- আজকাল কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক ও নৈতিক জ্ঞানহীন মানুষের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের তথ্য প্রযুক্তি। অপরাধের একটা বড় অংশ এইসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়। মূল্যবোধ বিবর্জিত মানুষেরা প্রযুক্তিকে তাদের ভোগ ও আয়েশের ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছে। তথ্য বিকৃতি, ব্যক্তিগতভাবে সমাজের কোনো মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা ইত্যাদি বিষয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিত্যনৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও ছবি চুরি করে ব্ল্যাকমেল করার মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কম্পিউটারের তথ্য হ্যাকিং সম্পর্কিত ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতাটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সমাজের নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষা জীবন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। এজন্য তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।