এসএম সুরুজ আলী ॥ মাধবপুরে মাকে হত্যার দায়ে কুলাঙ্গার পুত্রের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাছিম রেজার আদালত এ রায় দেন। দন্ডিত ব্যক্তি মাধবপুর উপজেলার একতারপুর নোয়াহাটি গ্রামের রাজমোহন সরকারের ছেলে দীপু সরকার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল রাত ৭টার দিকে দীপু সরকার তার মা রৌশন বালা সরকারকে ভাত দিতে বলে। এ সময় মা ভাত দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কুলাঙ্গার ছেলে একটি বাঁশের লািঠ দিয়ে মাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। তার শোর চিৎকার শুনে দীপুর বৌদি তুলন সরকার এগিয়ে এলে তাকেও মারধর শুরু করে দীপু সরকার। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রৌশন বালা সরকারকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত তুলন সরকারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন দীপু সরকারকে আটক করে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করে। পরদিন ১৬ এপ্রিল নিহত রৌশন বালার স্বামী রাজমোহন সরকার বাদি হয়ে ছেলে দীপু সরকারকে আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার তৎকালীন এসআই শ্যাামল চন্দ্র পাল তদন্ত শেষে দীপু সরকারকে আসামী করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলায় ২৪ জন সাক্ষির মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লেখিত রায় দেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী পলাতক ছিল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন শফিকুর রহমান চৌধুরী।