নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে স্বামী সন্তান রেখে এক গৃহবধূ পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। স্বামী হেলাল মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (২) এ পরকিয়া প্রেমিক ও তার স্ত্রীসহ সহযোগিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুজাখাইড় গ্রামের কৃষক আব্দুল মুছব্বিরের পুত্র হেলাল মিয়া প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই জেলার বাহুবল উপজেলার অমৃতা হাদপুর গ্রামের ছাদি মিয়ার কন্যা নাজমা আক্তারকে (২৮) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। তাদের ঔরসে ১ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্ম হয়। বড় মেয়ে চাঁদনী আক্তারের বয়স ৬ বছর, ছেলে জিহাদ আহমেদ ৩ বছর। স্ত্রী সন্তান পরিবার নিয়ে কৃষক হেলাল মিয়া সুখ শান্তিতেই ছিলেন। ইদানিং নাজমা আক্তারের বেপরোয়া চলাফেরা ও অশালীন কথাবার্তা প্রায়ই লক্ষ করেন হেলাল মিয়া। তাকে বার বার বারণ করলেও সে কখনো স্বামীর কথায় কর্ণপাত করেনি। নাজমা গোপনে গোপনে তার দুঃসম্পর্কের দেবর একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র মাহবুবুর রহমানের (২২) সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় নবীগঞ্জ সদরে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে ২ অবুঝ শিশু সন্তানকে বাড়িতে রেখে মাহবুবুর রহমানের সাথে পালিয়ে যায় নাজমা। হেলাল মিয়ার অভিযোগ, পালিয়ে যাওয়ার সময় নাজমা তার ঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র, জমি কেনার জন্য রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে স্বামীর গৃহে থাকাকালীন অবস্থায় শক্তি ফাইন্ডেশন নামীয় একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে পরকিয়া প্রেমিক মাহবুবুর রহমানকে স্বামী পরিচয় দিয়ে নাজমা ২০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে। এ ঘটনায় নাজমা ও মাহবুবুর রহমানের পরিবার থেকে কোন বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ মামলা দায়ের করেন কৃষক হেলাল মিয়া।