স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার কাগাপাশা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কৃপেন্দ্র দাস ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল ও সরকারি জায়গায় লাগানো গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর ওই শিক্ষককে চাকুরীচ্যুতির দাবি উঠেছে। একই সাথে একজন শিক্ষক হয়ে সরকারি জায়গা দখল, সরকারের একটি গোপাট রকম ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন, গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার নজিপুর মৌজার ২৯নং জেএল ভূক্ত সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের ১৯৭ দাগের একটি ভূমি দীর্ঘদিন যাবত দখল করে আছেন জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কৃপেন্দ্র দাস, খন্ডকালীন শিক্ষক বনবীর তালুকার ও বনরাজ তালুকদার। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের .৮৬ একর জমি জবর দখলের অভিযোগ রয়েছে। দখলকৃত জমিতে সাধারনের রাস্তা ও গোপাট রকম ভূমি ছিল। দখল থেকে রাস্তাও রেহাই পায়নি। সরকারের জায়গা দখল করে বৃদ্ধি করা হয় নিজেদের মাছ চাষের জায়গা। সরকারি জায়গায় বেড়ে উঠা গাছগাছালিও কেটে বিক্রি করে দেয় তারা। এ ব্যাপারে অঞ্জন দাস নামের এক ব্যক্তি বানিয়াচঙ্গের এসিল্যান্ড বরাবরে একটি আবেদন করেন। এসিল্যান্ড ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কুতুব উদ্দিন সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, কৃপেন্দ্র দাস ও তার সহযোগিদের সরকারি জায়গা দখলের কারনে বর্তমানে সরকারের গোপাটের কোনো চিহ্ন নেই। সরকারের গোপাট রকম ভূমি তারা দখল করে তাদের নিজেদের পুকুরের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। খাস খতিয়ানের ২২৮ দাগের সরকারের ফলিত গাছ কেটে নিয়ে আত্মসাত করেছে তারা। গোপাট রকম ভূমি দখল ও সরকারি ফলিত গাছ আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কুতুব উদ্দিন। ভূমি খেকোদের কাছ থেকে সরকারের জমি উদ্ধার করে নিরীহ কৃষকের হাওরে যাওয়ার রাস্তা উন্মোক্ত করার বাদী জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।