তাসনিম তালুকদার প্রাপ্তি হবিগঞ্জের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্লে শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময় এক নিকটাত্মীয়ের অনুরোধে শহরের আরডি হলে অনুষ্ঠিত একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অংশ নেয়। জীবনের প্রথম ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে শান্তনা পুরস্কার লাভ করে। এই পুরস্কার প্রাপ্তি তাকে চিত্রাঙ্কনের প্রতি আগ্রহী করে তুলে। এরপর থেকে ছবি আঁকার প্রতি সে ঝুঁকে পড়ে। ছবি আঁকার প্রতি সন্তানের আগ্রহ দেখে মা-বাবা তাকে বাঁধা দেননি। তারা মেয়েকে আরো পরিপক্ষ করে তুলতে শিক্ষকের ব্যবস্থা করেন। তারা সবসময় তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে যান। পিতা-মাতার উৎসাহ পেয়ে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকা চালিয়ে যেতে থাকে। নিজেকে শানিত করে নিতে শুরু থেকে অদ্যাবধি সে বিশিষ্ট চিত্র প্রশিক্ষক যীশু রায়ের কাছে চিত্রাঙ্কন চর্চা করে যাচ্ছে। লেখাপড়ার ফাঁকে সে বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেয়। বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি চাই অর্গানিজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ বাংলা অ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ইউনাইটেড নেশনস্ হবিগঞ্জ শাখা আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বাধিনতা দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক ক্লাব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নজরুল একাডেমী হবিগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, জাতীয় শিশু দিবস, জাতীয় শোক দিবস, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি হবিগঞ্জ, চারু নিকেতন, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ ছাত্র সমন্বয় ফোরাম, রোটারী ক্লাব অব হবিগঞ্জ, ব্যঞ্জন বর্ণ সাংস্কৃতিক ক্লাব হবিগঞ্জ, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ হবিগঞ্জ, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা সমিতি, কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ ও খেলাঘর জাতীয় শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ প্রায় ৪০টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জনসহ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে। তার পিতা জয়নাল আবেদীন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের হেড ক্লার্ক এবং মা মেহেরুন্নেছা খানম একজন আদর্শ গৃহিণী। তার অবসর সময় কাটে চিত্রাঙ্কন, বই পড়া ও টিভি দেখে। তার প্রিয় খাবার ফল। প্রিয় ফল পেঁপে, প্রিয় রং নীল আর প্রিয় ফুল রক্ত জবা। আনন্দঘন মুহূর্তে নরমাল পোশাক পরতেই সে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করে। প্রাপ্তি ভবিষ্যতে একজন স্বনামধন্য আদর্শ শিক্ষক হতে চায়। তার বিশ^াস শিক্ষকতা পেশা অত্যন্ত মহান। শিক্ষক হচ্ছেন সমাজের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। শিক্ষক হয়ে সে সমাজের ঝড়ে পড়া অসহায় শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। এজন্য সে সকলের দোয়া প্রার্থী। -মঈন উদ্দিন আহমেদ