স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামে মেয়ের বাড়িতে জিতু মিয়া (৮০) নামে এক বৃদ্ধের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় তার মৃত্যু ঘটে। শনিবার লাখাই থানা পুলিশ বৃদ্ধের অন্য মেয়ের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিতু মিয়া তার ৭ মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে এক মেয়েকে তার আপন ভাতিজার কাছে বিয়ে দেন। সম্প্রতি জিতু মিয়া বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হন। এই কারণে তার সকল সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে ভাগ-ভাটোয়ারা করে দেন। সিংহগ্রামে বিয়ে দেয়া মেয়ে দিলারাকে এবং নিজের স্ত্রী আতর চাঁন বিবিকে সম্পত্তির ভাগ বেশী দেন জিতু মিয়া। এই কারণে মা ও বোনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। জিতু মিয়া ও তার স্ত্রী প্রায় সময়ই দিলারার বাড়িতে অবস্থান করেন। ওইদিন এশার নামাজ পড়ার সময় সেজদার মাঝেই পড়ে থাকেন জিতু মিয়া। পরিবারের লোকজন তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তারা জিতু মিয়াকে বাড়িতে নিয়ে যান। সকালে দাফনের প্রস্তুতি নিলে জিতু মিয়ার আরেক কন্যা হাফিজা বেগম লাখাই থানায় অভিযোগ করেন তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি মোঃ এমরান হোসেন জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বৃদ্ধ জিতু মিয়াকে দাফনের সময় মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার লাশ নিয়ে যায় পুলিশ ॥ মর্গে প্রেরণ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com