মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ বিজ্ঞানচর্চার প্রতি উৎসাহ বাড়াতে আনন্দ-মুখর পরিবেশ ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলার সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলার স্টলগুলোতে চমক হিসেবে ছিল বিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আবিস্কারের নানা প্রজেক্ট।
শনিবার সকাল থেকে উপজেলার দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে এ বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৭০টি স্টলে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবিষ্কৃত বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৩৫০টি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। দিনভর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের পদচারণায় মুখর ছিল দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। প্রদর্শিত ৩৫০ প্রজেক্টের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য প্রজেক্ট হচ্ছে, রেইন এলার্ন, হাইড্রোলিক ক্রেন বা লিফট, স্মার্ট হোম, এটিএম বুথ, মেডিকেল কর্ণার, খাদ্য ফিরামিট (ফ্রেস খাবার প্রদর্শন), ডিএনএ মডেল, একটি বাড়ি একটি খামার, আদর্শ বিদ্যালয়, পলিথিন থেকে জ্বালানি উৎপাদন, বাতাস থেকে বিদ্যুৎ তৈরি, ওভার লোড ডিটেক্টর, মাছ হাঁস মুরিগের একত্রিত চাষ, টুথ পেস্ট তৈরি, এলোবেরা তেল তৈরি, সাবান তৈরি, নারিকেল তেল তৈরি, মহেশাচার্জার।
শনিবার সকালে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ এমপি। পরে শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সংসদ সদস্য বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। শিক্ষকরা জানান, মেলায় শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট আবিস্কার যে কাউকে অভিভূত করবে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আবিস্কার স্থান পেয়েছে এই মেলায়।
পরিদর্শন শেষে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ এমপি বলেন, সত্যিই আমি আজ গর্বিত, এই বিজ্ঞান মেলায় অনেক কিছু দেখলাম, দিনারপুর স্কুল থেকেই আগামী দিনে নতুন কিছু আবিষ্কার করে শিক্ষার্থীরা দিনারপুরের তথা হবিগঞ্জ জেলার মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আশাবাদী। এছাড়াও আগামীতে বিজ্ঞান মেলা আয়োজনে সব ধরণের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এমপি।
দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন তালুকদার বলেন, প্রথম বারেই মেলা সাড়া জাগিয়েছে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হবে। যারা মেলা দেখছেন তারাই বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহিত হচ্ছেন। এভাবেই একদিন সত্যিকারের বিজ্ঞানী তৈরি হবে। সরকারি সহযোগিতা পেলে আগামী বছর বৃহৎ আকারে বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করবেন বলে জানান এ শিক্ষক।