শত্রুতার নমুনা!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গে কাটা তারের বেড়া দিয়ে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে অপর প্রতিবেশী ইসমাইল গং। প্রতিকার চেয়ে রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দৌলতপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে সারোয়ার মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের সারোয়ার মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিদ্যমান রাস্তা কাটাতারের বেড়া দিয়া বন্ধ করে একই গ্রামের ইসমাইল মিয়া, মনির মিয়া, ওয়াসিম মিয়া, জসিম মিয়া গং। উক্ত রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা চলাচল করছেন। পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে জোরপূর্বক এ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়ে পরিবারের লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে পরিবারের লোকজন জরুরি কাজে বাড়ির বাহিরে যাওয়া, স্কুল পড়–য়া ছাত্রছাত্রীর স্কুলে যাওয়াসহ বাড়ির গবাদি পশুকে মাঠে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সারোয়ার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইতিপূর্বে শেখ ফরিদ মিয়া, ওয়াসিম মিয়াগং আমার বাড়িতে আক্রমণ করে আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় শেখ ফরিদ মিয়াকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভাংচুরকৃত ঘর মেরামত করার পর দ্বিতীয় দফা আবারও শেখ ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমার বসতঘর ভাংচুর করে আমার ঘরের মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কাটাতারের বেড়া দিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভোক্তভোগী সারোয়ার মিয়া।
এ বিষয়ে বানিয়াচং ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে একটি পরিবারকে জিম্মি করে রাখা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ইতিপূর্বে সারোয়ারদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম খোকন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃজনক, এটা চরম মানবাধিকার লঙন হয়েছে। এ ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।