স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাঠিয়াল বাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে পৌর মেয়রের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ছমেদ আলী নামে এক অসহায় টমটম চালক। হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ জঙ্গল বহুলার বাসিন্দা আরব আলীর পুত্র ছমেদ আলী তার আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি প্রতিদিনই পৌরসভার মধ্যে টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় ২৪ আগস্ট বেলা প্রায় সাড়ে ১১টায় তিনি পোদ্দারবাড়ি থেকে অসুস্থ বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে হবিগঞ্জ পৌরসভার গেইটে আসামাত্রা ৮/১০ জন লাঠিসোটা নিয়ে আমার টমটমটির গতিরোধ করে অসুস্থ মহিলাদের নামিয়ে টমটমটি পৌরসভার ভিতরে ঢোকানোর নির্দেশ দেয়। তিনি তাদের অনুরোধ করেন অসুস্থ বয়স্ক রোগীকে হাসপাতালে দিয়ে আসার। তারা এই অনুরোধ না রেখে জোরপূর্বক লাঠির ভয় দেখিয়ে টমটমটি পৌরসভার ভিতরে নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং টমটমটির চাবি তাদের কাছে নিয়ে নেয়। ওই সময় তিনি দেখতে পান তার মতো প্রায় দুই থেকে আড়াইশ টমটম পৌরসভার ভেতরে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় জেলা পরিষদে মন্ত্রী মহোদয় টমটমের ভাড়ার বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং টমটমের বৈধতা দিয়ে যাবেন। তিনি সকলের সাথে মিছিল সহকারে জেলা পরিষদে গিয়ে দেখতে পান সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোকসভা ও আলোচনা সভা। তিনি তার গাড়ির চাবিটি দেয়ার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা চাবি না দিয়ে আলোচনা সভা শেষ হওয়ার পর বিকেল প্রায় ৪টায় পৌরসভার গেইটের তালা খুলে দেয়। ৪/৫ ঘন্টা টমটম চালাতে না পেরে ছমেদ আলী ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি রোজগার করতে না পারায় গাড়ির মালিককে ভাড়া মওকুফের জন্য অনুরোধ করন। কিন্তু মালিক অপারগতা প্রকাশ করে পূর্ণ ভাড়া দিতে বলেন। তিনি অনেক কষ্টের বিনিময়ে গাড়ির ভাড়া পরিশোধ করেন। ওইদিন সভা চলাকালীন তিনি তথ্য নিয়ে জানতে পারেন শহরের উমেদনগরের আব্দুল মালেক, বহুলার কামরুল ইসলাম, গোসাইপুরের এনামুল হক, বাণিজ্যিক এলাকার পিন্টু দাস গং টমটম আটকিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। ছমেদ আলী বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে পৌরসভার স্টাফদের জিজ্ঞেস করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের কার্যকলাপ না করতে পারে এ ব্যাপারে মেয়রের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।