স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদন বিহীন ফার্মেসিগুলোতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই দেশী বিদেশী ওষুধ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ নকল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ফার্মেসি থেকে সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যাথা ইত্যাদি নানারোগের কথা বলে ওষুধ ক্রয় করছে সাধারণ ক্রেতাসহ মাদকাসক্তরা। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
সূত্র জানায়, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না বেশিরভাগ ফার্মেসি ব্যবসায়ী। এসব ফার্মেসি থেকে অতি সহজেই ক্রয় করা যায় ঘুম ও নেশা জাতীয় তরল পদার্থের ওষুধ। উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতে কারো কোন বেগ পেতে হয় না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক ফার্মেসি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ড্রাগ লাইসেন্স আছে মাত্র কয়েকটি ফার্মেসির। আবার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসিগুলোও ওষুধ প্রশাসনের বেধে দেয়া শর্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করে না। এসব দোকানে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই প্রায় ৫০ ভাগ ওষুধ বিক্রি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি জীবনও বিপন্ন হতে পারে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রয়ের জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় উচ্চ মাত্রার ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করতে ফার্মেসির দারস্থ হচ্ছে অনেকেই। মাদকাসক্তরা চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। ফার্মেসির মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, লাইসেন্সধারী ফার্মেসির চেয়ে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সংখ্যা বেশি থাকায় এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির ঘটনা জনস্বাস্থ্যের জন্য যেমন হুমকি, তেমনি আইন শৃংখলা পরিস্থিতির পরিপন্থী। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অনুমোদনবিহীন ফার্মেসিগুলোতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া দেশী-বিদেশী ওষুধ বিক্রি সহ বিভিন্ন অভিযোগে আমরা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে থাকি। তবে এ বিষয়গুলো নজর রাখার কথা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ফার্মেসি নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের।