বাপা’র পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন, কে কখন জ্বরে আক্রান্ত হন। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু জ¦র। হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর ভিড়। বর্ষা মৌসুম এলেই এডিস মশার উৎপাত বাড়ে। সবাই জানেন এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরের বাহক। দেশজুড়ে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ায় হবিগঞ্জবাসীও আতঙ্কে ভুগছেন। ইতিমধ্যে হবিগঞ্জেও ডেঙ্গু জ¦র ধরা পড়েছে অনেকের। তাই এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। তাই আসুন আমরা নিজ দায়িত্বে কিছু কাজ সম্পন্ন করি ও অন্যকে তা করতে আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত পরিচ্ছনতা ও মশক নিধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে আরডি হল প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, গবেষক ও সাবেক উপসচিব ড. শেখ ফজলে এলাহী, কবি ও বাপা সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, বাপা সাধারণ সম্পাদক খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, পৌর কাউন্সিলর শেখ নুর হোসেন প্রমুখ। শুরুতে ডেঙ্গু জ¦র এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন রোটারিয়ান ডাঃ এস এস আল-আমিন সুমন ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের লেকচারার ডাঃ মঈন উদ্দিন সাকু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তারুণ্য সোসাইটির সভাপতি পরিবেশকর্মী আবিদুর রহমান রাকিব। পরে শহরের আরডি হল এলাকা, শ্যামলী, নিউ মুসলিম কোয়ার্টার ও শ্মশানঘাট এলাকায় মশার ঔষধ ছিটানো এবং সচেতনতামুলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তারুণ্য সোসাইটি, আমরা করব জয়, রোটারেক্ট ক্লাব হবিগঞ্জ খোয়াই, গ্রীণ ভয়েসসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা।
কর্মসূচি সম্পর্কে বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, শুধুমাত্র ডেঙ্গু আতঙ্কের জন্য নয়, যে কোন রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকতে এবং স্বাস্থ্যকর জনপদ গড়ে তোলার জন্য নগরের পুকুর-জলাশয়গুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা বাঞ্ছনীয়। এই শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেক পুকুর-জলাশয়, পুরাতন খোয়াই নদীর বেঁচে থাকা নানা স্থানে ঝোপঝাড় কচুরিপানাসহ নানানরকম আবর্জনা বিদ্যমান। দায়িত্বশীল সংগঠন-প্রতিষ্ঠানকে এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ভূমিকা রাখতে হবে।