মোঃ টিপু মিয়া ॥ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার এক দিনেই নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন রোগী। তারা সকলেই হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকাতে এসিড মশার উৎপাত মহামারী আকার ধারণ করেছে। যার ফলে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জ শহরেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থানরত হবিগঞ্জের বহু লোক এসিড মশার আক্রমণের শিকার হয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সকলেই চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে খুব কম সংখ্যক রোগী সুস্থ হলেও অধিকাংশ রোগীই হবিগঞ্জ থেকে সিলেট এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার নিয়েছেন। হবিগঞ্জ থেকে রেফার নেয়ার কারণ হিসবে কয়েকজন ভুক্তভোগী রোগী এবং একজন দায়িত্বরত নার্স বলেন, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বেরের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নেই এবং ডাক্তার সংকট রয়েছে। মেডিসিন চিকিৎসক দিয়েই তাদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে। ফলে কাক্সিক্ষত চিকিৎসা তারা পাচ্ছেন না। এমনকি তাদের একটি মশারি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না হাসপাতাল থেকে। ফলে তারা বাধ্য হয়েই রেফার নিচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ২৭ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বেরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন এবং বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নতুন করে যে ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন- হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরের আইয়ুব আলীর পুত্র মোঃ ইসমাইল (১৭), রাখানগর এলাকার অনু শীলের পুত্র সুশান্ত শীল (৩২), লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র আলী রহমান (২৮), মাধবপুর উপজেলার দুনাগাঁও গ্রামের হরমুজ আলীর পুত্র আলামিন (১৭), বাহুবল উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র মানসুর আলম (২৬), লাখাই উপজেলার কাটিয়ারা গ্রামের আরশেদ আলীর পুত্র শিপন মিয়া (৩২), লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামের ফারুক আহমেদের পুত্র সোহাগ আহমেদ (২৪)। তারা সকলেই ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং সেখানে তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।