এম, এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাটি এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে। বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট এলাকায় পানি জমে ওই এলাকার পাঁচটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। বর্তমানে কুশিয়ারা, বিজনা ও বরাক নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের উপর দিয়ে প্রবেশ করছে। যে কোন সময় কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে বড় ধরনের বন্যার আশংকা রয়েছে। ইতিমধ্যে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বাঁধ উপচে বেশ কয়েকটি গ্রাম বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। আতংক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৌহিদ বিন হাসান তাঁর কার্যালয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্টোল রুম খুলেছেন।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে নবীগঞ্জের পারকুল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইকে মেরামতের কাজ পুনরায় শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বনগাও, পারকুল, ঢালার পাড়, ব্রাহ্মণগ্রাম, পাহাড়পুর সহ ১০টি গ্রাম ও ইসলামপুর এবং দীঘলবাক ইউনিয়নের দীঘলবাক, কসবা, কুমারকাঁদা, ফাদুল্লা, রাধাপুর, দুর্গাপুর, জামারগাঁও সহ ১৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত এবং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বিবিয়ানা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইউনিয়নে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইনাতগঞ্জ বাজারের পার্শবর্তী উমরপুর, ইনাতগঞ্জের বাজারের ছড়া, পুর্ববাজার কলনী, চন্ডিপুর, বটপারা, বাউরকাপন, মোকামপারা, রাজনগর সহ আশপাশের শত শত গরীব পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। গরীব অসহায়দের সাহায্যার্থে ওই ওয়ার্ডে মেম্বার আজির উদ্দিন আরজু সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এসব এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান জানান, আমরা ইতোমধ্যে উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছি। জরুরী প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন পানিবন্দি লোকজন।
হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ৫০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইকে মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে আমরা বস্তা ফেলে ভাঙন টেকাতে জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।