স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন হবিগঞ্জ পৌরবাসী। কয়েল জ্বালিয়ে, ওষুধ ছিটিয়ে, মশারি টানিয়েও নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পৌরকর্তৃপক্ষ ঔষধ ছিটিয়ে মশা নিধন না করায় দিন-দিন মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর মশার কামড়ে দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই। বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের ভয়ঙ্কর রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা রয়েছে। পৌর টাউন হল রোডের বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী শরিফা আক্তার জানান, মশার উপদ্রবে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। ঘরে নবজাতক থাকায় কয়েলও জ্বালানো যাচ্ছে না। যে কারণে পুরো পরিবার পড়েছেন বিপাকে। হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আসা সালমা বেগম নামে এক মহিলা বলেন, তার সাত মাস বয়সী শিশুকে মশায় কামড় দিলে হাত ফুলে যায় এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত চার দিন ধরে জ্বর না কমায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মশার উপদ্রবের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আগে নিয়মিতভাবে পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধনের অভিযান পরিচালনা করা হত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এটা বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে মশার উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, ‘মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া কয়েল অথবা অ্যারোসলও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাড়ির আঙ্গিনা অথবা শহরের ড্রেন পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, রবিবার আমি দায়িত্ব গ্রহণ করব। দায়িত্ব গ্রহণের পর শুধু মশকনিধন নয়, পৌরবাসীর কল্যাণে যা যা করণীয় তাই করব।