মাধবপুরে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভায় ডিআইজি কামরুল

এসএম সুরুজ আলী ॥ সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান (বিপিএম বার) বলেছেন, একটি জাতিকে ধ্বংসের জন্য মাদক যথেষ্ট। আগামী বছর থেকে মাদকাসক্ত কাউকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। চাকরিতে প্রবেশের আগে প্রত্যেককে মাদকাসক্ত কি-না পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোন পরিবারে একজন সদস্য মাদকাসক্ত থাকলে পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। মাদকের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। যদি কোন পুলিশ সদস্য মাদক কিংবা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। মাদক ও জঙ্গী তৎপরতায় জড়িতদের কোন ছাড় নয়। মাদকের সাথে কোন গডফাদারকেও ছাড় দেয়া হবে না।
বিট পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণকে হয়রানি মুক্ত সেবা দিতেই বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে জনগণ তাদের অভিযোগ সরাসরি পুলিশের কাছে বলতে পারবে। এছাড়া ছোটখাট বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে। এতে মামলার সংখ্যাও কমবে। তিনি শনিবার দুপুরে মাধবপুর থানা পুলিশ আয়োজিত বিট পুলিশিং সম্প্রসারিত কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন প্রতিটি ইউনিয়নেই বিট পুলিশিং কার্যক্রম রয়েছে। এখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন সহকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে যেসব বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায় এ গুলোই বিট পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে মিমাংসা করে দিবে। এতে করে আধিপত্য বিস্তার, স্বামী-স্ত্রী ও গোষ্ঠি সংক্রান্ত বিরোধে থানায় মামলা ও দাঙ্গা কম হবে।
তিনি বলেন সিলেটের প্রবেশদ্বার মাধবপুর উপজেলা। এ প্রবেশদ্বারে শুধু ট্রেন আর বাসই ঢুকে না। মাদকও প্রবেশ করছে। এগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিট পুলিশিং সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম, পিপিএম সেবা, সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) মো. নাজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার গৌতম দেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রহম আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আতিকুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বিট পুলিশিং এর কার্যক্রম নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাদের মতামত তুলে ধরেন।