নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া নিয়ে ইনাতগঞ্জ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজীকে সংবর্ধনা, সাবেক এমপি এম এ মুমিন চৌধুরী বাবুকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান বেলা সাড়ে ১১টায় কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করার পর ছাত্রলীগের দুই নেতা কলেজছাত্র কাইফু আহমেদ ও জাহান বক্তব্য দেন। এ সময় যুবলীগের নোমান আহমেদ তার অনুসারী মিঠু দেবকে বক্তব্য দিতে বললে কলেজের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বের করা তালিকা অনুযায়ী বক্তব্য দেয়া হচ্ছ। এখন নতুন করে কারো বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। এ সময় নোমান অধ্যক্ষ সনজিত সেন রায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। তাতেও অধ্যক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করেন। এর জের ধরে এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা সাফু আলম, কাইফু, জাহান গংদের সাথে নোমান ও তার সহযোগীদের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারণ করলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় দর্শক সারিতে বসা কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার লোকজন দিগি¦দিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও মঞ্চে থাকা প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য গাজী শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী রাগ করে মঞ্চ ত্যাগ করেন। তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ সংসদ সদস্যকে আবার মঞ্চে ফিরিয়ে নন।
পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এমপি গাজী শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুমিন চৌধুরী বাবু, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান প্রমুখ।
ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নুরুল আমিন জানান, অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। পরে এটা সমাধান হওয়ার পর অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।