এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা হবিগঞ্জের কৃতি সন্তানদের নাম শুধু হবিগঞ্জেই নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের নাম আলোচনায় আনতে হবে। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম হবিগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। বৃহস্পতিবার রাতে সুরবিতান মিলনায়তনে হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক মরহুম মেজর জেনারেল এম এ রব (বীরউত্তম এমএনএ পিএসসি) এর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধে সিলেট বিভাগ তথা হবিগঞ্জের সন্তানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এমএ বর মুক্তিযুদ্ধে যে ভূমিকা রেখেছিলেন তা আজীবন আমাদের স্মরণ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন- হবিগঞ্জ একটি সুন্দর জেলা। এ জেলায় দ্যা প্যালেসের মত আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্টসহ অনেক কিছু রয়েছে। যা জেলাকে আলোকিত করছে। কিন্তু জেলার কিছু বদনামও রয়েছে সেটি হলো দাঙ্গা। হবিগঞ্জকে দাঙ্গা মুক্ত করে দেশের ৪/৫ জেলার মধ্যে একটি শান্তিপ্রিয় জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি মেজর জেনারেল এম এ রব এর জন্মশত বার্ষিকী বিশাল আকারে পালনের জন্য আহ্বান জানান। এ প্রেক্ষিতে সভায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে আহ্বায়ক করে জানুয়ারিতে মেজর জেনারেল এম এ রব এর জন্মশত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
মেজর জেনারেল এমএ রব গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ জিতু মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জয়নাল আবেদীন রাসেলের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মমিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য রওশন আরা ভূইয়া লাকী, আব্দুল মোতালিব মমরাজ, সৈয়দ দারাজ, আব্দুর রহিম মেম্বার, পিন্টু দাস, মহিবুর রহমান চৌধুরী, সাদিকুল ইসলাম মুকুল, নুরুজ্জামান জাকী প্রমূখ।