মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জ শহরের গুটি কয়েক বড় মুদীমাল দোকানে খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু তারপরও অনেক দোকানেই পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পেঁয়াজের পাইকারী বিক্রেতা হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার নারকেল হাটার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি চট্টগ্রাম থেকে কিছু পেঁয়াজ কিনেছিলেন ১৬০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এগুলোতে পঁচা পেঁয়াজ থাকায় তিনি তা আর আনেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, গতকাল বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম আরো বেশি। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন ২/৩ জন ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে কিছু পেঁয়াজ কিনে এনেছেন।
দাম হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ শহরের ক্ষুদে মুদীমালের দোকানগুলোতে পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যায়নি। অনেক ক্রেতা মুদী দোকানগুলোতে পেঁয়াজ ক্রয় করতে গিয়ে বিফল মনোরথে ফিরে এসেছেন।
হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর জানান, গতকাল তিনি দোকানে বিক্রির জন্য ১৮০ টাকা দরে ১৫ কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করে এনেছেন। ১৯০ টাকা কেজি দরে তিনি সে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তার ধারণা আমদানি না বাড়লে অথবা নতুন পেঁয়াজ বাজারে না এলে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম একদিনের ব্যবধানে অনেক বেড়ে যায়। এরপর থেকে দাম না কমে প্রায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। যদিও সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মায়ানমারসহ বিকল্প স্থান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ওই সময়ে হবিগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এর পর সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রিসহ সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সরকারের কোন পদক্ষেপই দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রসুনের দাম।
মুদীমাল দোকানগুলোতে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com