সাইদুল ইসলাম স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত

এসএম সুরুজ আলী ॥ চুনারুঘাটের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের আপন ভাতিজা সাইদুল ইসলাম স্বপনকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জ এর ওসি শরীফ মোহাম্মদ করিম স্বপনের বিরুদ্ধে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পিবিআই’র ওসি শরীফ মোহাম্মদ করিম দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার আপন ভাতিজা সাইদুল ইসলাম স্বপনকে ২৮ অক্টোবর চুনারুঘাট উপজেলার চন্দনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত স্বপন চন্দনা গ্রামের ভিংরাজ মিয়ার ছেলে। ২৯ অক্টোবর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী রঞ্জন পাল পলাতক রয়েছেন। আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিন আসামীসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রেলগেইট এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান চুনারুঘাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া। নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে রাস্তায় সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে চুনারুঘাট সদরে হরতাল পালন করে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে মরিয়া হয়ে উঠে। উক্ত ঘটনায় ৩০ মার্চ জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীমকে ঢাকার তেজকুনিপাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ মার্চ তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ হত্যা মামলার দুই নম্বার আসামী গ্রেফতারকৃত কুতুব আলী চুনারুঘাট পৌরসভার ধলাইপাড় গ্রামের বাসিন্দা ও চুনারুঘাট পৌরসভার কাউন্সিলর। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।