স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা ব্যবস্থা কওমী মাদ্রাসাগুলোতে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আলেম বানানোর পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী শিক্ষার অবদান ও মানবিক দিক বিবেচনা করে কওমী শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আমি নিজেও একজন সংসদ সদস্য হওয়ার সুবাদে উক্ত স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন দিয়ে মহৎ কাজের সাক্ষী হয়েছি বলে গর্ববোধ করছি। তিনি বলেন, শুধু স্বীকৃতি নয়, আমি কওমী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ লাভে এবং কওমী মাদ্রাসাগুলোর যাবতীয় উন্নয়নে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা পুরস্কার বিতরণী ও জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের প্রেরণামূলক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই দেশ আমাদের সকলের। কওমী মাদ্রাসা, আলিয়া মাদ্রাসা এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সকল নাগরিককে যাবতীয় সন্ত্রাসবাদসহ দেশবিরোধী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বেফাক হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) উত্তীর্ণ এবং বেফাকের কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় বিভিন্ন শ্রেণিতে মেধাস্থান অর্জনকারীদেরকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিলপুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বেফাকের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ সভাপতি আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষার পাশাপাশি দীক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই কওমী মাদ্রাসায় আবরার হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতে দেখা যায় না। আখেরাতমুখী ও নৈতিক শিক্ষার ফলে কওমী মাদ্রাসায় হল দখল নেই, চাঁদাবাজি নেই, নারী ধর্ষণের মত ঘটনা এখানে ঘটেনা।
অনুষ্ঠানে বেফাকের স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করেন এমপি আবু জাহির।