আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে আপন ভাতিজাকে নগ্ন করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত স্বপন মিয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জে আদালতে হাজির করা হয় স্বপন মিয়াকে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
এর আগে বুধবার নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করেন জিসানের মা সুমনা বেগম। পরে বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর পূর্বে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের সুফি মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুমনা বেগমের। সুফি মিয়ার মৃত্যুর পর ছোট শিশুর কথা চিন্তা করে জীবিকার তাগিদে তিনি পাড়ি জমান সৌদি আরব। সৌদি আরবে গিয়ে শান্তিতে থাকতে পারেননি গৃহবধূ সুমনা। টাকার জন্য তার সন্তানকে নির্যাতন করতো দেবর স্বামী স্বপন মিয়া। হতভাগা মা সন্তানকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে ধাপে ধাপে স্বপনের কাছে টাকাও পাঠান। কিন্তু নির্যাতন থামেনি। সম্প্রতি শিশু জিসানকে নগ্ন করে নির্যাতন করে সেই দৃশ্য ভিডিও করে টাকা চেয়ে তা পাঠান মায়ের নিকট। এই দৃশ্য সইতে না পেরে ১ নভেম্বর দেশে ছুটে আসে মা সুমনা। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সকালে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ও ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ, সেকেন্ড অফিসার এস.আই শামসুল ইসলামসহ একদল পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অবশেষে বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রাম থেকে নির্যাতনকারী স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করেন। পরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনার বর্ণনা দেন।