স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ শহরের হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে এসএসসির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি এসএসসির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় উৎকোচ গ্রহণ করে ফলাফল পরিবর্তন করে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ওই স্কুলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অকৃতকার্যদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা পরীক্ষার ফলাফলের মার্কশীট দেখার জন্য প্রধান শিক্ষকের প্রতি বার বার দাবি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাদের শান্তনা না দিয়ে বরং উল্টো তাদের তাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে এসএসসির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষা নিয়ে অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠে। আগামী এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অত্র স্কুলের মোট ২১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও এর মধ্যে ১০৮ জন শিক্ষার্থীকে কৃতকার্য দেখানো হয়। বাকী ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে গনিতসহ ৩, ৪, ৫টি বিষয়ে অকৃতকার্য্য দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা হট্টগোল চলাকালীন সময়ে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের নির্দেশে থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ সামছুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে জানান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় না করে একক সিদ্ধান্তে ওই ফলাফল প্রকাশ করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আরো জানা যায়, প্রায় ৮ মাস যাবত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয় না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনরা।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম জানান, অরণা গোস্বামীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসৌজন্যমূলক আচরণসহ হট্টগোলের সৃষ্টি করে।