হবিগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভায় জি কে গউছ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ জি কে গউছ বলেছেন- জনশক্তির সামনে কোন শক্তিই দাঁড়াতে পারে না, আওয়ামীলীগও পারবে না। সীমাহীন দুর্নীতির কারণে আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। আওয়ামীলীগ বন্দুকের নল দিয়ে জনগণের কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু আওয়ামীলীগের জানা নেই এর পরিণাম কত ভয়াবহ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ সরকার বংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই, জান-মালের নিরাপত্তা নেই, আইনের শাসন নেই। এই সরকার সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। ফলশ্রুতিতে দেশের মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ, খুন, গুম আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরকার সেই দিকে নজর না দিয়ে রাজপথের বিরোধীদল দমনে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। এভাবে একটি রাষ্ট্রকে চলতে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন- ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিন সিপাহী জনতার বিপ্লব ও সংহতি না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টে যেত। এই বিপ্লবের মাধ্যমেই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল। এই দিন তৎকালীন সেনাপ্রধান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে এক অচলাবস্থা থেকে রক্ষা করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। শুরু হয়েছিল বহুদলীয় রাজনীতির ধারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই গণতন্ত্র আজ দেশে নেই। আওয়ামীলীগ সরকার আবারও দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আবারও ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সকলকে রাজপথে নামতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা রফিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম জি মুহিত, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নানু, মহিবুল ইসলাম শাহীন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জিললুর রহমান, অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস নুরী প্রমুখ।