স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ কর্মশালায় এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, গত ১১ বছরে সারাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশে^ স্বীকৃতি পেয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে হলে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক থাকতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা পরিষদের হলরুমে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই শুধু রাজনীতিবিদই নন, সরকারী চাকুরীজীবদেরও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের বিকল্প নেই। এ সময় গ্রাম এলাকার মায়েদেরকে নরমাল ডেলিভারীর দিকে আগ্রহী করার পাশাপাশি বাল্য বিয়ে রোধে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা কর্মকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, হবিগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডাঃ নাসিমা খানম ইভা, লাখাই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মাসুম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবিএম সামছুদ্দিন আহমেদ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকাসহ অন্যান্যরা এতে অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়- মাতৃ এবং অনুর্ধ্ব ৫ বছরের শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ এবং মায়েদের উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিরাপদ গর্ভপাতের কারণে মা এবং শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন সংক্রমন থেকে রক্ষা করাসহ মাতৃ এবং শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়ন বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালায়।