বিজনা নদীর পাশে কচুরিপানার ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নুর আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল

এসএম সুরুজ আলী ॥ বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের আগলাবাড়ি-কৃষ্ণনগর (নোয়াগাঁও) গ্রামের চাঞ্চল্যকর জলমহাল ব্যবসায়ী নুর আলম হত্যা মামলার ৩ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের নোয়াখাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নোয়াখাল গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে সজলু মিয়া, একই গ্রামের মজুমদার মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মদরিছ মিয়া।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হন নুর আলম। এরপর থেকে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনার ২ দিন পর ১৪ অক্টোবর শনিবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলাধীন গুঙ্গিয়াজুরি হাওর বিজনা নদীর পূর্ব পাশে কচুরিপানার ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নুর আলমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নুর আলমের লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় ৩২ জনকে আসামী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত নুর আলমের মা ছোকেরা খাতুন।
মামলায় উল্লেখ করেন, ‘বিলের ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে গ্রেফতারকৃত আসামীরাসহ সানু মিয়া ও কনু মিয়া উল্লেখিত সময়ে বাড়ি থেকে ডেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় নুর আলমকে। এরপর আসামীরা নুর আলমকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়’। গতকাল গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবি’র এসআই আবুল কালাম আজাদ।