স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, হবিগঞ্জের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজ দেখে আমি খুবই আশাবাদী। আগামীতে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের ১০ নির্মাতাকে পৃষ্টপোষকতা করা হবে। আমি আশাকরি তারা দেশ ও দেশের বাহিরে হবিগঞ্জের মুখ উজ্জল করবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ টাউন হলে ১ম বারের মতো হবিগঞ্জ চলচ্চিত্র উৎসব (ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির আরো বলেন- হবিগঞ্জের দুই কৃতি সন্তান প্রয়াত চিত্র পরিচালক এমএ ছামাদ ও দেশ বরেণ্য সংগীত শিল্পী সুবির নন্দীর নামে হবিগঞ্জের ২টি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ সময় তিনি ‘দি বাটারফ্লাই’ চলচ্চিত্রের ডিভিডির মোড়ক উন্মোচন করেন। হবিগঞ্জ ফিল্ম ক্লাবের আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মরহুম এম ছামাদের ভাতিজা ইংল্যান্ড প্রবাসী রানা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি তাহমিনা বেগম গিনি, খোয়াই থিয়েটার সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, অনিরুদ্ধ ধর শান্তনু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, সাংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, ইনার হুইল ক্লাব প্রেসিডেন্ট কুমকুম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সায়লা পারভীন, আবুল ফজল, সিদ্ধার্থ বিশ^াস, ইয়াসিন খান, জালাল উদ্দিন রুমী, আশরাফ উদ্দিন জসিম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে নির্মাতাদের জমাকৃত ১০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছায়া মানবীর পরিচালক নাহিল আশরাফুলকে সেরা পরিচালক হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন জাবেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুভাষ আচার্য্য। উৎসবে পরিচালক সাইফুদ্দিন জাবেদ, লিটন গোপন, সুভাষ আচার্য্য, সোহাগ সিদ্দিক, সৈয়দ রাশিদুল হাসান রুজেন, গৌতম দাশ সুমন, সিএম রায়হান উজ্জল, ইফতেখার আহমেদ ফাগুন, নাসির উদ্দিন রাসেল, আব্দুল মজিদ মুন্নার ছবি প্রদর্শিত হয়। ছবি বাছাই পর্বে জুরিবোর্ডে ছিলেন সিদ্দিকী হারুন, স্বরূপানন্দ, আশিষ দাশ।
হবিগঞ্জ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com