কয়েকজন ব্যবসায়ী গুদামে শত শত বস্তা পেঁয়াজ মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছেন

স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ ভ্রাম্যমান আদালত পেয়াঁজ মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেও হবিগঞ্জের মাধবপুরে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকজন ব্যবসায়ী গুদামে শত শত বস্তা পেঁয়াজ মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সীমিত আকারে অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। এ কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে ১শ’ টাকার উপরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাজার থেকে কিনছেন সাধারণ ভোক্তারা। এতে ভোক্তাদের মাঝে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সাধারণ ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ১৫ দিন ধরে মাধবপুর বাজারে পেঁয়াজের এমন অস্থিরতা চলছে। পাইকারী ব্যবসায়ীদের তালিকা অনুযায়ী বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬২/৬৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু মাধবপুর বাজারের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের নিজেদের দোকানে শত শত বস্তা পেঁয়াজ মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতি মুনাফার আশায় অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। যে কারণে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনও খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এদিকে মাধবপুর বাজারে উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়েশা আক্তার বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অধিক মূল্যে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে একজন মজুদদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় কয়েকজন পেঁয়াজ মজুদদার প্রতিশ্রুতি দেন তালিকা অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করবেন। কিন্তু পরদিন বৃহষ্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা যায় খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বুধবার বাজারে অভিযান পরিচালনা করার কারণে পেঁয়াজ মজুদদাররা এখন খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। বাধ্য হয়েই খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) আয়েশা আক্তার জানান, বুধবার আমরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য পাইকারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও সতর্ক করেছি। বৃহষ্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নতুন একটি নির্দেশনা আসছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অবৈধ পেঁয়াজ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব যাতে বাজার সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।