চুনারুঘাটে র‌্যাব সদস্যের হাতে নিহত দুলা মিয়ার স্মরণসভায় মানুষের ঢল

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার দুলা মিয়া’র স্মরণে শনিবার বিকেলে শানখলা ইউনিয়নের শাকির মোহাম্মদ বাজারে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহতের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তরফদার সবুজ। সভায় বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। সভায় বক্তারা হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামীকে ধৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার দ্রুত মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশীট প্রদানের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার আশ^াস দেন।
স্মরণসভায় দ্রুত ক্লুলেস এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হক, ওসি (তদন্ত) আলী আশরাফ, মামলার আইও এসআই নাজমুল হক, এএসআই ইউ এম ইমন.ও কনস্টেবল কাউসারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন শানখলা ইউনিয়নবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তরফদার সম্মাননা হিসেবে তাদের ক্রেস্ট প্রদান করেন।
উপজেলার পাট্টাশরীফ গ্রামের দুলা মিয়াকে মাত্র ৩ শতক জমির জন্য তারই সম্পর্কে চাচা বিজিবি সদস্য (প্রেষণে র‌্যাব-২ এ কর্মরত) সাদেক আলী গত ১৭ জুন বিকেলে অপহরণ করিয়ে ঢাকায় নিয়ে পেশাদার কিলার দ্বারা হত্যা করে লাশ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেন। পরে ক্লুলেস এ মামলায় অপহরণের সময় কোন এক যুবকের তোলা একটি ছবির সূত্র ধরে গত ১২ জুলাই অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস সনাক্ত হয় এবং মাইক্রোবাসের চালক ইউসুফ সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে এ মামলার কিলার সহ ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৭ জুলাই তার লাশ ঢাকার জুরাইন কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে চুনারুঘাটে এনে দাফন করা হয়। পুলিশ এ ঘটনার মামলার মুল পরিকল্পনাকারী র‌্যাব সদস্য ছাদেক আলীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। চুনারুঘাট থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।