সৃষ্টিকুলের মুক্তিদূত, বিশ^ মানবতার মুক্তির দিশারী সমস্ত নবী-রাসুলগণের শেরতাজ, মর্যাদাগত দিক থেকে আল্লাহর পরেই যাঁর অবস্থান, সেই রাসুলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে স্থানে আরামের বিছানায় শুয়ে আছেন তার নাম মাদিনাতুল মুনাওয়ারাহ্। যেই স্থানের মর্যাদা মক্কা ও আরশে আজীমের চেয়েও বেশি। জিয়ারতে মাদিনা নিয়েই আলোচনা থাকছে আজকের দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার ‘ইসলাম ও মানবতা’ কলামে।
মদিনা নামটি শোনা মাত্রই আশেক হৃদয়ে শিহরণের সৃষ্টি হয়, মন যেন ব্যাকুল হয়ে যায় মদিনা দেখার তরে। মদিনা শরীফের বরকত সম্পর্কে বলা যায়, রাসুল (সঃ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন যে, হে আল্লাহ মক্কাতুল মুকাররাম থেকে মদিনাতুল মুনাওয়ারায় দ্বিগুণ বরকত দান কর। আল্লাহ্তা’আলা দোয়া কবুল করেছেন, মদিনা শরীফকে পূণ্যভূমিতে পরিণত করেছেন এবং রিয়াদুল জান্নাত বা জান্নাতের টুকরা মদিনা শরীফেই আল্লাহ্পাক দান করেছেন।
বর্তমানে হজে¦র মৌসুম চলছে। হজ¦ব্রত পালন করার জন্য পৃথিবীর দিক দিগন্ত থেকে মুসলমানগণ ছুটে চলেছেন মক্কা ও মদিনার পানে। আর এটাই হলো জিয়ারতে মদিনার সুবর্ণ সুযোগ। রাসুলে কারীম (সঃ) এরশাদ করেন- যে আমার রওজা জিয়ারত করল, তার উপর আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল। (বায়হাকী-৩৮৬২)
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি হজ¦ করল অথচ আমার রওজা জিয়ারত করল না সে আমার উপর জুলুম করল (ইবনে হিযান, দারে কুতনী, দায়লামী)। আশেক হৃদয়ের জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া হল রাসুল (সঃ) এর রওজার পাশে দাঁড়িয়ে সালাম আরজ করা।