বাহুবলে বিট পুলিশিং সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা

উপজেলা তথা জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পরস্পর সমন্বয়ে কাজ করতে হবে

মনিরুল ইসলাম শামিম, বাহুবল থেকে ॥ হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম, বিপিএম) বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রম এক সময় শহরকেন্দ্রিক ছিল। এ কার্যক্রমকে বেগমান করার লক্ষ্যে বিট পুলিশিং প্রতিটি ইউনিয়নে চালু করা হয়েছে। আগামিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হবে। এ উপজেলায় মদ, গাঁজা, হেরোইন সেবন ও বিক্রয় বন্ধে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। পরস্পর সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহুবল তথা হবিগঞ্জ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ রাখতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ আয়োজিত সম্প্রসারিত বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি চা বাগান শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা বাগানে এসে জোর করে মদ খেতে চায় তাদের নামগুলো আমাদের কাছে পৌছে দেবেন। আমরা তাদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করব। আমি জানি চা বাগানে এখন যারা বসবাস করেন তারা খুবই শিক্ষিত এবং সচেতন। এ বছরও তিনজন চা শ্রমিকের সন্তানকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি দেয়া হয়েছে। আপনারা এখন জানতে শিখেছেন মদ একটি ক্ষতিকর জিনিস। মদপান করলে দেহের ক্ষতি হয়। তাদেরকে মদপান ছেড়ে ডিম খেতে পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই কাওসার মাহমুদ তোরনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক, দারাগাঁও চা বাগানের উপ মহা-ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আসকর আলী, বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, ভাদেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বশির, মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন লিয়াকত, জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান সাহেদ।
বক্তব্য রাখেন পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোফাসিসর হোসেন, বাহুবল মডেল থানার এসআই জহিরুল ইসলাম, কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহরম আলী।
সভায় বক্তারা চার শিশু হত্যাকান্ডের পর থেকে অশান্ত হয়ে উঠা সুন্দ্রাটিকি গ্রামকে শান্ত করে তোলার জন্য বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, বিদায়ী ওসি মাসুক আলী ও কামাইছড়া ফাড়ির ইনচার্জ মহরম আলীর ভুয়সী প্রশংসা করেন।