চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পাষন্ড স্বামী, দেবর ও শাশুড়ি। বুধবার দুপরের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্য নরপতি গ্রামে কাছুম আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী গৃহবধূ খাদিজা আক্তারের চিৎকারে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহত খাদিজা আক্তার (২৫) মধ্য নরপতি গ্রামের কাছুম আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলার মধ্য নরপতি গ্রামের আহম্মদ আলীর পুত্র কাছুম আলীর সাথে মাধবপুর উপজেলার মাটিকাটা হরিপুর গ্রামের ইদু মিয়ার কন্যা খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে। ৬ মাস বয়সের মাসুম ও ৩ বছর বয়সের মেয়ে মায়েশা। সন্তান জন্মের পর থেকেই পাষন্ড স্বামী কাছুম আলীসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন অজুহাতে খাদিজার নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। প্রায়ই পাষন্ড স্বামী কাছুম আলী যৌতুকের জন্য গৃহবধূ খাদিজাকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুুধবার দুপুরের দিকে পাষন্ড স্বামী কাছুম আলী তার স্ত্রী খাদিজার নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে খাদিজা অপারগতা প্রকাশ করামাত্রই যৌতুকের দাবিতে উত্তেজিত হয়ে পাষন্ড স্বামী কাছুম আলী ও তার বোন জলিকা খাতুন, মা রাবেয়া খাতুন, দেবর হোসেন আলী, ননদ সহ বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং গৃহবধূ খাদিজা মারপিটের যন্ত্রণায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে গৃহবধূ খাদিজাকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে খাদিজা খাতুনের পিতা ইদু মিয়া ও মা জহুরা খাতুন মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।