জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৫ শিক্ষার্থী ॥ বানিয়াচং লাখাই আজমিরীগঞ্জ বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি

এসএম সুরুজ আলী ॥ সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০১৯-এর ফল গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় জেলায় ১৪ হাজার ৬৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৮৩ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৫ জন। পাশের হার ৬৭.১৭%। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ৩ হাজার ৪২৮ শিক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ২ হাজার ৪০২ জন উত্তীর্ণ হয়। এ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। পাশের হার ৭০.০৭%। নবীগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৭১৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। পাশের হার শতকরা ৭৮.২৮%। বানিয়াচং উপজেলায় ২ হাজার ১৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১ হাজার ২৮৪ জন উত্তীর্ণ হয়। এ উপজেলার কোন পরীক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায়নি। পাশের হার ৬৯.০৩%। আজমিরীগঞ্জ উজেলায় ৬৮৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫০৩ জন উত্তীর্ণ হয়। উপজেলায় কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। পাশের হার ৭৩.৪৩%। লাখাই উপজেলায় ৫৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এ উপজেলা জিপিএ-৫ নেই। শতকরা পাশের হার ৬০.৭০%। চুনারুঘাট উপজেলায় ১ হাজার ৩১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে ৯৪০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন। পাশের হার ৭১.৬৫%। মাধবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫২৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন। পাশের হার ৭৬.৪৮%। বাহুবল উপজেলায় ১ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬১০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৪৪.৭৫%। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৯৩২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৭০.১৭%।
হবিগঞ্জ জেলায় মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষায় ৮২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৭৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩টি। পাশের হার শতকরা ৯১.৬০%। জেলায় বিএম পরীক্ষায় ১৭৪ জন অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১টি। শতকরা পাশের হার ৫৬.২২%।