স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর উপজেলার শিল্প কারখানার বর্জ্য সুতাং নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে লাখাই উপজেলার হাওর এলাকায় বোয়াল, পাবদা, কালবাউশ ও টেংরাসহ অনেক দেশীয় প্রাতির মাছ ডিম ছাড়ছে না। এতে করে ওই সকল প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর বাহিরে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ ও সচেতনতার অভাবে সম্ভাবনাময় দেশীয় মাছ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাদা খসরু জানান, হবিগঞ্জের হাওর এলাকা দেশীয় মাছের জন্য বিখ্যাত। এই এলাকায় বিশেষ কিছু মাছ রয়েছে যা দেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না। কিন্তু বিষ দিয়ে এবং পানি সেচের মাধ্যমে মাছ আহরণের ফলে এই মাছ এখন হুমকিতে আছে। এর বাহিরে শিল্প বর্জ্য শোধন না করে নদীর পানিতে মিশে যাওয়ায় বিপন্ন প্রজাতির ও বিলুপ্ত প্রায় দুর্লভ অনেক মাছ এখন বংশ বিস্তার করছে না। বিশেষ করে এক ঠোট, সরপুটি, মেনি, রানী, গুদুম, চিতল, ফলি, বামোশ, কাল বাউশ, আইড়, টেংরা, চাকা, গজার, বাইম, মধু পাবদা, কাজুরী, পুটিসহ অনেক মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পরে তিনি সপ্তাহ ব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ উল্লা, মৎস্য কর্মকর্তা ওবায়দুল হাসান চঞ্চল ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল ইমরান।