আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের সভায় এমপি আবু জাহির

যারা আওয়ামী লীগের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে তাদেরকে দল থেকে আলাদা করা হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে আওয়ামী লীগে যাতে কোন রাজাকার আল বদরের প্রেতাত্মা প্রবেশ করতে না পারে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সময় একই পরিবারের এক ভাই মুক্তিযুদ্ধ করেছে আবার এক ভাই ছিল রাজাকার আল বদর। তারাই দলের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি তা সফল করতে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোন খুনিকে দেখতে চাই না। এই দেশ হবে মুক্তিযোদ্ধার বাংলাদেশ। যারা এতিমদের টাকা লুট করে তাদেরকে আমরা আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আমরা চাই সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গীবাদ, মজুদদারী আর দুর্নীতিবাজ বিরোধী বাংলাদেশ গড়তে।
মঙ্গলবার রাতে টাউন হলে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে তাদেরকে দল থেকে আলাদা করা হবে। লক্ষ্য রাখতে আওয়ামী লীগে যাতে কোন রাজাকার আল বদরের প্রেতাত্মা প্রবেশ করতে না পারে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সময় একই পরিবারের এক ভাই মুক্তিযুদ্ধ করেছে আবার একভাই ছিল রাজাকার আল বদর। তারাই দলের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাক মুক্তিযুদ্ধ করলেও তারা ছিল ষড়যন্ত্রকারী। যে পাকিস্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসি দিতে ভয় পেয়েছিল সেই স্বাধীন বাংলাদেশে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের মদদে জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি আর ফকিরের রাষ্ট্র বানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশকে অনেক সম্মানজনক স্থানে নিয়ে এসেছেন। আমরা দুঃসময়ে হবিগঞ্জ থেকে ৪টি আসনে নৌকাকে বিজয়ী করেছিলাম। এই ধারা এখনও অব্যাহত আছে। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিহিংসা থাকা ঠিক নয়। যারা দলের বিরোধীতা করবে তাদের কোন স্থান হবে না।
এমপি আবু জাহির বিদায়ী বছরের সকল গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যোগে ২০২০ সালে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন হবিগঞ্জবাসীর জন্য নতুন বছরে শেখ হাসিনার উপহার হবে কৃষি বিশ^বিদ্যালয়।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী, সাবেক জাতীয় কমিটির সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী টিপু, শেখ সামছুল হক, অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, মুকুল আচার্য্য, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, মর্তুজা হাসান, জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, মশিউর রহমান শামীম, মর্তুজ আলী, অ্যাডভোকেট মনোয়ার আলী, আকরাম আলী, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, কৃষকলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির রেজা, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো প্রমূখ।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শাহাদৎবরণকারী, জাতীয় ৪ নেতা এবং ৭১ এ শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।