স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহাবস্থান ও সহনশীলতার সপক্ষে ঐক্যমত সৃষ্টির লক্ষ্যে বাস্তবায়নাধীন ‘ক্লীন হবিগঞ্জ গ্রীণ হবিগঞ্জ’ প্রকল্পের অগ্রগতি এবং মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা বক্তব্য ও সুপারিশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সুরবিতান ললিতকলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। আইডিয়ার প্রকল্প কর্মকর্তা ওয়াদুদ ফয়সল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে অবহিত করা হয় ‘আইডিয়া’ একটি জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ৩টি জেলায় ‘শান্তিতে বিজয়’ নামে একটি প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করে। শান্তিতে বিজয় প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতায় ছিল ‘ডেমোক্রাসি ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি আর্ন্তজাতিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। প্রকল্পটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনসহ সিলেট জেলার ৭টি উপজেলায়, সুনামগঞ্জের ৪টি এবং হবিগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন ছিল। এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল রাজনীতির সপক্ষে একত্রিত হওয়ার মঞ্চ তৈরী করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। কার্যক্রমের আওতায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং স্থানীয় সুধীজন একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার পক্ষে এক সাথে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্ম ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা সমস্যা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতার ইস্যুটিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘ক্লিন হবিগঞ্জ গ্রীণ হবিগঞ্জ’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা ২০১৯ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন। প্রকল্পের এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে অবহিতকরণ সভা, এডভোকেসী টিম গঠন ও ওরিয়েন্টেশন, সচেতনতামূলক র‌্যালি, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নেটওয়ার্কিং এন্ড রিসোর্স মোবিলাইজেশন সভা এবং সবশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রকল্প গৃহীত কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হবিগঞ্জ পৌরসভার সুধীজন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তরুণ সমাজ, শিক্ষার্থী, নির্বাচিত প্রতিনিধি, যুবসমাজ, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন এবং সাংবাদিকগণ কার্যক্রমের স্বপক্ষে ঐক্যমত সৃৃষ্টির প্রত্যাশায় নানা সুপারিশ রাখেন। উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষ্যে উদ্যোগ, পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, পৌরসভার সকল স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন, প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের সাথে কাউন্সেলিং, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে ময়লা ব্যবস্থাপনার উপর সমন্বয় সভা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে সুপারিশ গ্রহণ, প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রতিমাসে একটি করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা প্রভৃতি।