নুর উদ্দিন সুমন ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে কনকনে শীত উপেক্ষা করে প্রেমিক সাগর (৩৫) এর বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক প্রেমিকা (২৫)। শনিবার বিকেল থেকে চলছে অনশন। প্রেমিক সাগর জারুলিয়ার আব্দুর নুর মিয়ার ছেলে ও প্রেমিকা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার হীরাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অনশনকারী যুবতী তার প্রেমিককে কাছে পেতে গত ১৩ ডিসেম্বর চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, যুবতীর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রেমিক সাগরের সাথে পরিচয় হয়। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হয়। সাগর তার প্রেমিকাকে জানায় চুনারুঘাট বাজারে রকমারি নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রেমিক সাগর তার প্রেমিকাকে মাঝেমধ্যে তার দোকানে নিমন্ত্রণ জানায়। গত ১৫ অক্টোবর সাগর প্রেমিকাকে চুনারুঘাট আসতে বলে। তার কথামতে এসে যুবতী পৌরসভাধীন সতং রোডস্থ ভুমি অফিসের পিছনে এক বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাত কাটায় এবং ব্যবসায়ীক ব্যস্ততার অজুহাতে পরে এক সময় কোর্টে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া সাগর ওই যুবতীকে নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় আমোদফূর্তি করে। কিছুদিন যেতেই যুবতীর সাথে সাগর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং সাগর তাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানায়। তার বিয়ের খবর শুনে যুবতী প্রথমে চুনারুঘাটে সাগরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রকমারি দোকানে আসে। এসে সাগরকে না পেয়ে শনিবার বিকেলে প্রেমিক সাগরের গ্রামের বাড়ি জারুলিয়ায় গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। যুবতীর অনশনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রেমিক সাগরের বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ও এলাকার নেতৃস্থানীয় লোকজন ওই যুবতীকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। এদিকে সাগর তার নববধূকে নিয়ে তার শ^শুরবাড়িতে রয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেমিকা বলেন, সাগরসহ তার পরিবারের লোকজন বিয়ের বিষয়টির সুরাহা দিতে হবে। তা না করা পর্যন্ত আমার অনশন চলবে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার এএসআই ইমন জানান, উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের জিম্মায় ওই যুবতীকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে রবিবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।