স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- যারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করছে, গুম-খুনের মাধ্যমে একেকটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে, আদালতকে কাজে লাগিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছে, তাদেরও একদিন পতন হবে। শুধু ধৈর্য্যরে সাথে বর্তমান সরকারের সকল অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আমাদেরকে সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে চিরস্থায়ীভাবে কারাগারে আটক করে রাখা যাবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবেই। খালেদা জিয়ার হাত ধরে আবারও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭নং নুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- দেশ দুর্নীতির মহাসাগরে নিমজ্জিত। জনগণের সম্পদ লুটপাট করে আওয়ামীলীগ নেতারা দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। শুধু পিঁয়াজের বাজার থেকে ২ হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। হবিগঞ্জ একটি ছোট্ট শহর, এই শহরে খোদ সরকার প্রধানের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৪ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এ রকম অসংখ্য দুর্নীতি হবিগঞ্জে হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মোতালিব ফরিদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ ফরহাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছলিম উল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, বিএনপি নেতা ফজলুল করিম, আব্দুল হাই, সিরাজুল ইসলাম ধন মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, আরব আলী, আবু তাহের, আব্দুস সোবহান, নিজামুল ইসলাম বিলাল, দিলাল সরদার, মানিক মিয়া, রাব্বির হোসেন ছোয়াব, মর্তুজ আলী, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম কাওছার, রাবিকুল ইসলাম সান্টু, আরিফ হোসেন খোকন, গাজিউর রহমান রানা, রাসেল মিয়া, কামাল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি কে ঝলক, সোহাগ আহমেদ, আব্দুল্লাহ পারভেজ, এম এ মান্নান বকুল, আব্দুল্লাহ জুনায়েদ, মোঃ মিশন প্রমুখ।
সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথিকে ফুলেল তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আব্দুল করিম, মধু মিয়া, আব্দুল করিম, আব্দুল আলী, বাজেষ্টার মিয়া, আমিনুর রহমান, কাজী ফারুক মিয়া, ডালিম মিয়া, আছকির মিয়া।
সম্মেলনে এংরাজ মেম্বারকে সভাপতি, আব্দুল করিমকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, আছকির মেম্বারকে সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল মজিদ কনাই মিয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুল গফুর ছোট মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে নুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়।