এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ জিহাদী বই বিলি করার সময় হেযবুত তাওহীদের দুই নারীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে নারী নির্যাতন মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করেন ওই নারীরা। শনিবার দুপুরবেলা বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বগলাখাল গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর মেয়ে জহুরা ফাইজা (১৭), একই উপজেলার রাজিউড়া গ্রামের নুরুজ মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), আদ্যপাশা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), মো. ফজর আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (২৭) ও লস্করপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে শাকিল মিয়া (১৮)।
সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন যাবত বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হেযবুত তাওহীদ নামের একটি সংগঠনের সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে মিরপুর বাজারে হেযবুত তাওহীদের ১৫ জন নারী সদস্য তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে সাধারণ লোকদের মাঝে বিভিন্ন জিহাদী বই বিলি করছিলেন। আর তিনজন পুরুষ সদস্য আড়ালে থেকে এই তিনটি দলের নেতৃত্ব দেন। তাদের জিহাদী বই বিলি ও আচরণ সন্দেহজনক হলে স্থানীয় লোকজন সংগঠনের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দুই নারীসহ ৫ জনকে জনতা আটক করলেও তাদের অপর সহযোগীরা দুটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে শায়েস্তাগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ও ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয় এবং পরে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া হেযবুত তাওহীদের জেলা সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে সাংবাদিককে নারী নির্যাতন মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন।
খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এসআই মাহমুদ ও এএসআই শাহিদুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই নারীসহ ৫ জনকে আটক করে এবং সাথে থাকা জিহাদী বই জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় লোকজনের সামনে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক পুরুষ সদস্য ইতিপূর্বে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।