বিশে^ একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই মাইনরিটি বান্ধব সরকার
এসএম সুরুজ আলী ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপিকে মাইনরিটি বান্ধব বলে যে উক্তি করেছেন তা হাস্যকর। এটি কোন পাগলেও বিশ^াস করবে না। এই বাংলাদেশে স্বাধীনতাত্তোর ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে মাইনরিটিদের উপর হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার করেছে তা একাত্তরের বর্বরতার সাথে তুলনীয়। বিএনপি’র সেই নিষ্ঠুর বর্বরতা ইতিহাসের এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। বিশে^ একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই মাইনরিটি বান্ধব সরকার। মন্ত্রী বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিমতলা প্রাঙ্গণে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্লিন ইমেজের পার্টিতে রূপান্তরিত করতে শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে সফল করতে হবে। আওয়ামী লীগে কোন দুষিত রক্ত থাকতে পারবে না। দুষিত রক্ত মুক্ত করে আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করা হবে। মুজিব বর্ষ সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো। তিনি আরো বলেন- আজ যে যা বলুক, দেশে বলুক বিদেশে বলুক বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অনেক শান্তিতে আছে। কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এই সরকার মাইনরটিদের সবচেয়ে আপনজন। শেখ হাসিনাই মাইনরিটিদের আপনজন। তিনি বলেন- আজকের বিশে^র ৩জন সৎ প্রধানমন্ত্রীর একজন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বিশে^র ৪জন পরিশ্রমী রাষ্ট্র্রনায়কের একজন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বিশে^র ১০জন প্রভাবশালী রাষ্ট্র নায়কের একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ’৭৫ পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা এবং সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আহমদ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, পিপি সিরাজুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, মুকুল আচার্য্য, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, অনুপ কুমার দেব মনা, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী প্রমুখ। পরে মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানকে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ঘোষণা করা হয়।