মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ থেকে ইনাতগঞ্জ সড়কটিতে উন্নয়ন প্রকল্পের সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে। ফলে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনা এবং দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষকে। বিশেষ করে ধুলোবালিতে নাকাল হচ্ছেন শিশু-কিশোরেরা। বাড়ছে নানা রোগ বালাই। বয়স্করাও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কবে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হবে এ নিয়ে হতাশায় লোকজন।
সূত্র জানায়, বিশ্ব ব্যাংকের রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় গেল মে মাসে। কিন্তু সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, কাজ শুরুর পর ১৫ দিনের মাথায় সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ব্রীজ থেকে তাজপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার অংশে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এর মধ্যে খোঁড়া জায়গায় ইটের খোয়া ফেলে রোলার করেন ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকরা। কিন্তু এখন সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সারাক্ষণ ধুলোর যন্ত্রনায় নানা রোগ বালাই হচ্ছে চলাচলকারীদের। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এক মাত্র এই সড়ক দিয়ে নবীগঞ্জ শহরে আসেন। এমনকি ওই সড়কে যেতে হয় নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে। সড়কটি সারাক্ষণ ধূলিময় থাকে পথচারী, যাত্রীদের পাশাপাশি কলেজ শিক্ষার্থীরা ধুলার উপদ্রব সহ্য করেই পথ চলছেন।
নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন- প্রতিদিন ধুলার যন্ত্রণা সহ্য করে হেটে হেটে কলেজে যাই। দীর্ঘদিন ধরে কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা নানা রোগে ভূগছি।
স্থানীয় লোকজন জানান, সড়কটি দিয়ে উপজেলার মিল্লিক, বেরি, হালিতলা, শ্যামারগাঁও, কাজীরবাজার, হরিনগর, করগাঁও, পাঞ্জারাই, মার্কুলি, ইনাতগঞ্জ, শৈলা, রামপুর, বাল্লা জনগন্নাথপুরসহ শতাধিক গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করেন। অথচ ৬ মাস যাবৎ সড়কটি ধীরগতিতে সংস্কার কাজ করায় যাতায়াতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এলজিইডির সূত্র বলছে- ১৮ ফুট চওড়া এই সড়কে বিটুমিনের কার্পেটিং হওয়ার কথা। ইনাতগঞ্জ অংশে সিমেন্টের নর্দমা হবে। এ ছাড়া সড়কের ইনাতগঞ্জ ও কাজীরবাজার অংশে দুটি কালভার্টও নির্মাণ করা হবে।
নবীগঞ্জ এলজিইডির উপ-প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, গেল মার্চ মাসে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগামী বছরের ২৪ আগস্ট এই কাজ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু শুরু হয়েছে এর দুই মাস পর মে মাসে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com