সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে ॥ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব নবান্ন উৎসব। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাস আসলেই কৃষাণ-কৃষাণীদের ঘরে ধান কেটে নতুন চালের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ত কিন্তু এ বছর কৃষাণ-কৃষাণীদের মনে নেই কোন আনন্দ বা নবান্ন উৎসব।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীনতা ও ধানের মূল্য কম হওয়ার কারণে এ বছর নবান্ন উৎসব ম্লান হয়ে গেছে। ধান কাটা শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হাতের নাগালের বাইরে থাকায় একজন কৃষক ১ মণ ধান ৫শ’ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। এখন মাঠে বিরাজ করছে আমন ধান কাটার মহোৎসব। এবছর আমন ধানের ফলনও হয়েছে বেশি। কিন্তু কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ এক ধরনের মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৃষকের নিকট থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান কম মূল্যে ক্রয় করে পরে বেশি মূল্যে বিক্রয় করে তাদের পকেট ভারী করে।
লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর লাখাই উপজেলায় মোট ১২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এদিকে লাখাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য।
স্থানীয় বামৈ বাজারের এক ব্যাবসায়ীর সাথে এ প্রতিনিধির আলাপকালে তিনি বলেন, হবিগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করার কারণে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তারা।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিক হলেও অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের বাজার এখনো অস্থিতিশীল।
লাখাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং আরো জোরদার করার দাবি এলাকার সচেতন নাগরিক ও সর্বসাধারণের।
নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার দাবি
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com