লক্ষ্মীবাওরকেও প্রকল্পের আওতায় আনার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী বলেছেন- সিলেট থেকে আমাদের পর্যটনের যাত্রা শুরু। পর্যটন চাইলে আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। বানিয়াচং একটি ঐতিহ্যবাহী জায়গা। বানিয়াচংয়ের সাগরদীঘি খাটো করে দেখার মতো বিষয় না। ৩০ কোটি টাকা দিয়ে দিয়ে আমরা পর্যটন খাতে কনসালটেণ্ট নিয়োগ দিয়েছি। যাতে সারাদেশে পর্যটন খাতের জন্য পর্যটন স্পট বের করা হয়। আর এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় বানিয়াচংয়ের সাগরদিঘীকে আনা হবে। আমরা পর্যটন সমৃদ্ধি গ্রাম গড়ে তুলবো। যেখানে থাকবে সবধরণর সুযোগ-সুবিধা। পর্যটন চাইলে আমাদেরকে সমাজ থেকে অপরাধ দূর করে শান্তিপুর্ণ পরিবেশ স্থাপন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী শনিবার বিকেলে থানা চত্বরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বানিয়াচং কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল ভূষণ রায় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম-পিপিএম), উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী আরো বলেন, যারা সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে চায় তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে কিছু মানুষকে পর্যটন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবো। বানিয়াচংয়ে আরেকটি স্পট লক্ষ্মীবাওরকে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের আওতায় আনার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। বানিয়াচংয়ে অপরাধের শূন্যের কোটায় নামাতে হবে। আমার বিশ্বাস এই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সকল ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমপি মজিদ খান বলেন, আমাদের মনের দিক দিয়ে বড়ো হতে হবে। সমাজে কমাতে হবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা। বানিয়াচংয়ের চতুর্পাশে গড়ের খাল উদ্ধারের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি দিঘী খনন করবো। পুরাতন মসজিদগুলোকে সংস্কার করে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) তজম্মুল হক চৌধুরী, কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক বিপুল ভুষণ রায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম, জেলা পরিষদ সদস্য রৌশনারা ভুইয়া লাকি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তারসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বানিয়াচং থানায় পৌছুলে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এসআই হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করে একদল চৌকস পুলিশ। সকালে বানিয়াচং কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা পরিষদের মাঠ থেকে শুরু হয়ে বানিয়াচং থানা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।