উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সল তালুকদারের অনুসারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে অপর ছাত্রলীগ নেতা শামিনুরের গাড়ি ভাংচুর করে

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ থানায় ওসির রুমে চেয়ারে বসা নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির সাথে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ দাবিদার এক নেতার একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নবীগঞ্জে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ অনুষ্ঠান শেষে থানায় হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে পরে দুপুরে নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে নবীগঞ্জে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ অনুষ্ঠান শেষে উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ এমপিসহ অতিথিবৃন্দ আপ্যায়নের জন্য নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের কক্ষে যান। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সল তালুকদার ও ছাত্রলীগ নেতা দাবিদার শামিনুর মিয়ার মধ্যে চেয়ারে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। তাৎক্ষনিক এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ ও উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেতা দাবিদার উপজেলার ফুটারমাটি গ্রামের গজল মিয়ার ছেলে শামিনুর মিয়া তার প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-১২-৭৩৫৯) যোগে বাড়ি ফেরার পথে শহরের নতুন বাজার মোড়ে পৌঁছামাত্রই আগে থেকে প্রস্তুত থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে জিজ্ঞেস করলে অশালীন আচরণ করে। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সলের অনুসারিরা শামিনুরের প্রাইভেট কারটি ভাংচুর করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এ ব্যাপারে শামিনুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফয়সলের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী আমার গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সল তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই হামলার বিষয়ে কিছু জানি না। কে বা কারা হামলা করেছে আমার জানা নেই।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখনও লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।