স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছুন্নাহারের ক্ষতি করতে মাঠে নেমে পড়েছেন এক ইউপি মেম্বার। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চেয়ারম্যানের ক্ষতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছেন তিনি। তার প্রতারণা ফাঁস করে দিয়েছেন অন্যান্য মেম্বাররা। ব্যক্তি আক্রোশ মিটাতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যিনি মাঠে নেমেছেন তিনি হলেন দেওরগাছ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মালেক। ওই ইউনিয়নের ১১ জন সদস্য-সদস্যা আব্দুল মালেকের প্রতারণার বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত আবেদনে ১১ মেম্বার জানান, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ মালেক বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারগণকে বলেছিলেন, উপজেলা পরিষদ হতে অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে আসার জন্য আবেদন করবেন। যাহার মধ্যে আমাদের দস্তখতের প্রয়োজন। সেই রকম একটি সাদা কাগজে আঃ মালেক মেম্বার আমাদের নিকট থেকে তারিখ বিহীন স্বাক্ষর নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন। যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে এই জাতীয় অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। মিথ্যা এই অনাস্থা, দুর্নীতি ও অনিয়মের আবেদন আমরা করিনি। উপজেলা পরিষদ হতে উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ আনার কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সম্পূর্ণরূপে তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন মেম্বার মালেক। এই রকম একটি আবেদনে আমাদের স্বাক্ষর ব্যবহার করার কারণে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুননাহার বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আমার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ মালেক অপরাপর মেম্বারগণকে অতিরিক্ত বরাদ্দ এনে দেওয়ার কথা বলে তাদের নিকট হতে একটি সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে পরবর্তীতে ঐ সাদা কাগজে আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত দরখাস্তে যে সমস্ত অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে তাহা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোগিত ও কাল্পনিক। বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, শুধুমাত্র আমার মানসম্মান ও সরকারি কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে। তিনি এর বিচার দাবি করেন।